গোধুলীর প্লেন ছুঁয়েছে পায়রাবতীর রানওয়ে।
সন্ধ্যের শিডিউল ভাঙা বাসে, টিকেট কি পাবো?
রাতের ট্রেন সত্যি কি আর
সকালের জংশনে
পৌঁছোতে পারে?
এই সমস্ত বিচ্ছিন্ন ভাবনার বুনোঘাসে
দাগ কেটে ফিরে এলে- অস্বস্তির হুইলচেয়ার,
আমার একলা ভোরে শিশির শুকিয়ে যায়;
রৌদ্রের কড়া পেগ মুখ ধুয়ে দেয়, অপমানে।
সিগ্রেটের ঠোঁট খসে আলতো আগুন আসে
চাদর পোড়া গন্ধের কার্নিশ বেয়ে
মানুষটার চোখে নাবে অসুস্থ ঘুমের শুশুক।
বৃষ্টির বেলা পেরিয়ে, শহরের মসৃণ উরু
আগলে রাখে সংক্রামক দাদের ক্ষত।
যেখানে যাবার কথা ছিলো,
জীবনের কাঁচা ধান বুনে
যেখানে জিরুতে চেয়েছি- সমর্পনের মাচা বেঁধে,
অনাহুতি নিয়ে অযাচকের মতো
বহু ক্রোশ দূরে তার
মৃত্যুর নকশা আঁকি আজ।
কালো গোলাপের কাঁটা, তবুও সবুজ হয়!
পা’জামা বদলাতে কি আর খরচ!
ফিসিফাস প্রশ্ন আসে,
পা’য়ের বিকল্প পাবে তো?
|| উত্তর বাড্ডা || ১৭ মে, ২০১৭ ||