তোমায় দিতে পারতাম ততোটা স্বাধীন জীবনে আমৃত্যু সহযোগীতা, যার কিছুটা কাছাকাছি পর্যন্ত তুমি ভাবতে পারো। কিংবা, যেটুকুর পরে নিঃশব্দে তোমাকে হারিয়ে ফেলা যায়।
আসলে, মানুষের প্রস্থানে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, পুর্বরাগে পুর্ন চুম্বনের প্রতিটা প্রতিশ্রুতি আজ অর্থহীন জানছি। সত্য কেবল মুহুর্তের সাপেক্ষেই সত্য। সময়ের আগল তুলে দিলে- ঠুনকো, আপেক্ষিক। সত্য বলে আদতে কিছু নেই। সত্য সেটাই, যা তুমি বিশ্বাস করছো।
বলতে চাইছি না যে, তোমাকে না পেলে ভু-ভারত মিথ্যে হয়ে যাবে, কিংবা জীবন আর জীবন থাকবে না। বরং, তোমাকে হারিয়ে ফেললেও খুব বেশি কি কষ্ট পাবো?
আমি বড় ভুলোমনা, হারিয়ে ফেলা মুদ্রাদোষ। ইদানিং যন্ত্রণার বোধও বেশ ফিকে হয়ে গেছে।
তবে, এটা সত্য যে, আমি বিশ্বাস করি, তোমার সাথে কাটাতে পারলে, জীবনের বাকী দিনগুলো দুজনের কাছেই বেশ উপভোগ্য হতো। আমি কোন প্রতিশ্রুতি দেবো না। কারণ, প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলে আজ হয়তো চিঠির বদলে বাজারের ফর্দ লিখতাম। অবশ্য, বাজারের ফর্দ লেখাতেও আনন্দ আছে। এটা তখনই জেনেছি, যখন বুঝলাম, সে আনন্দ আমার থেকে অনেক তফাতে চলে গেছে।
আমি বিশ্বাস করি, আমার দেবার মতো, ছড়াবার মতো, অনেক অনেক রঙ জমে আছে। ক্ষতের ক্ষরণ যেহেতু সাদাকালো হয় না কখনো।
ব্যক্তিস্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্যে আমি শ্রদ্ধা রাখি। মানি যে, সম্মান যে কোন সম্পর্কের বুনিয়াদ। অনেক মৃত্যুর পরে আমি শিখেছি, কতোটা দাঁড়াতে হয়, কতোখানি লড়তে হয়- নিজের মানুষটার জন্যে।
যে লড়াইটা প্রতিবার সাদা পতাকা তুলে এড়িয়ে এসেছি, আজ, বোধ করি, তার জন্যেই নিজেকে শানাচ্ছি।
নারী, আমি তোমার পুরুষ হতে আসিনি। মানুষ, আমি তোমার বন্ধু হতে চাইছি।