What if i die today? what if i kill myself now?
-মানুষের জাজমেন্টাল মেন্টালিটি কি প্রখর উর্বর সেটা দেখতে পাবো না, এবং ভাইস ভার্সা।
কিন্তু আমার দ্যাখা বা না দ্যাখাতে কি আসে যায়? আমি এক্সিকিউশনে যাচ্ছি তখনই, যখন এই সমস্ত ফালতু ব্যাপারে আমার কোন মাথা ব্যাথা থাকছে না। আর সবচে বড় কথা, মাথাটা তো কেজো থাকতে হবে ব্যাথাটার জন্য।
ইদানিং মৃত্যুর কথা ভাবতে খুব রোমান্টিক লাগে। যেরকমটা অনেক অনেক বছর ধরে প্লেটোনিক প্রেম করে আসা যুগলের লাগে, বাসরের আগের সন্ধ্যেয়। ইদানিং বেঁচে থাকাটা কেমন যেন দায়-সর্বস্ব ঘানি টানা হয়ে যাচ্ছে। লরেন্স বলেছিলো না, But better die than live mechanically a life that is a repetition of repetitions. ঠিক কথা, মরে যাওয়াই ভালো।
তখন রক্তটা ছিলো টগবগে। হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা বলে বহুত মেরেছি রাজা-উজির। তারপর, Change the system from within বলতে বলতে এখন নিজেই সিস্টেমের কব্জা হয়ে গেছি। এখন কোথাও কোন বদলের যায়গা পাই নে, কেবল বলদেরাই সর্বগ। ইদানিং চতুর্পাশে ঘানি দেখি, ঘানিতে জুড়ে থাকা বলদের জোয়াল দেখি, সাফল্যের ভুল সংজ্ঞায় নিজের বিচলিত আস্থা দেখি, সেই আস্থাকে আবার গোয়ালে বিচালি খড়ের মতো ছড়িয়ে থাকতে দেখি।
তারপর মনে হয়, এখানে আর নতুন কিছু নেই, খামাখা তিতে ধরে আসা চুইংগাম চিবিয়ে আরো তিতে করে যাচ্ছি।
সব কিছুর একটা সময় থাকে, সমস্ত সময়ের থাকে বাধা বা না-বাধা রেঞ্জ। মনে হচ্ছে, আমার জীবনকাল সেই রেঞ্জ পেরিয়ে গেছে ঢের আগে।
কেবল নিজের জন্যে বেঁচে আনন্দ নেই, যাদের যাদের কথা বলা যেতে পারতো, তাদের যে কারোর জন্যেই নিজের অথর্ব এক্সিস্টেন্স প্রলম্বিত করা অর্থহীন লাগছে। সিলিঙে ঝুলবে যে লাশ তার রূপজ্ঞানে কি এসে যায়? শিবুদা, রুপবতী না হলে কি সে লাশ গান হতে পারবে না।
কখনো গলা ছেড়ে নিজেকে কবি দাবি করি নি। আজ করছি। মনে মনে জীবনের কবি ভেবেছি নিজেকে ঢের, আজ দাঁড়িয়েছি মৃত্যুর পক্ষে। হাহা, কবিদের পল্টিবাজ হতে কে কবে কোথায় মানা করেছে?
ফালতু প্যাঁচাল বাদ দেই। আমার খুব করে ইচ্ছে ছিলো, মরে যাবার আগে একটা পেঁচগি লাগানোর। ধাঁধা ধাঁধা খেলার। আমি কেন চলে গেছি, যদি কেউ জানতে চায়, তবে তাকে বিচ্ছিরী রকম ঘোল খাওয়ানোর।
-কি রকম?
-ধরা যাক, দেখা গেলো, সিলিঙ্গে ঝুলছি আমি। নিচে টেবিলে ভাতের প্লেট, পাতের মাছটাও আধ খাওয়া। আমি তখন লাশ, সেই লাশের ডান হাতে ভাত-তরকারী লেগে আছে। অথচ, টুল-টায়, ফ্যানে, গামছা বা মাফলার, দড়ি কোথাও এক রত্তি হলুদের ছোঁপ নেই!! চুলায় চায়ের পানি দেয়া ছিলো, কিছু চা পাতাও। হতে পারে মগটায় চিনি আর গুড়োদুধ নামানো ছিলো অগ্রিম।
ঘড়ির সাপেক্ষে লাশটার পোশাক হয়তো কিছু বেশিই পরিপাটি, অথচ এক পায়ে সু, অন্য পায়ে স্পঞ্জ। ঘরের সদর দরজাটার কব্জা এমন যে, আমি চাইলে ওটাকে বাইরে থেকে বন্ধ দেখাতে পারি।
দেয়ালে কোথাও কি কিছু লিখে যাবো? কোন কবিতার লাইন, কোন অসুস্থ ধাঁধার ধোঁয়াশা? একটা ধাঁধা নিয়ে যাবে অন্য ধাঁধার কাছে, সেই ধাঁধা আরো একটা ধাঁধায়। অপমৃত্যুর দেখভালে আসা তদন্তকারী কর্মকর্তার ঘাম ছুঁটে যাবে, অথচ ধাঁধা ছাড়াবার নেশা তাকে জাপটে ধরবে আসক্তির মতোন।
তারপর কোন একদিন বেচারা পৌছুবে আমার শেষ চিরকুটে, যেখানে আমার হাতে লেখা তেলাপোকা অক্ষর বলছে, ” ইট ওয়াজ সো নাইস, প্লেইং ইউ 😉 ”
আসলে, আমার মরে যাবার কোন কারণ নেই। যেরকম নেই, বেঁচে থাকার জন্যেও। এটা, স্রেফ একটা চয়েস। এটা, আমার চয়েস।
এই যা, কই থেকে কই এসে পড়লুম, কেবল সিলিং ফ্যানের সাথে মাফলার বেঁধেই কতো খেলা খেলে ফেলছি!!
নির্বিষ ঝুলে যাবার মৃত্যু যে আমি আমার নিয়তিতে লিখবো না।
নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই বোধকরি আনন্দ সবচে বেশি!!
জীবন সিম্পিল।
আনন্দ নিতে এসেছিলাম, আনন্দ নিয়ে চলে যাবো 🙂
হা হা হা !!!