পাসপোর্ট পেরেশানিঃ
আমার হাতে-লেখা পাসপোর্ট এক্সপায়ার হয়ে যায় ২০১০ এ। তখন সবে MRP চালু হয়েছে। MRP এর ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে প্রথমেই যে বিপত্তি বাধলো, তা “Md.” নিয়ে!
আমার সমস্ত ডকুমেন্টস এ নামের শুরু এমডি(ডট) দিয়ে কিন্তু, এমআরপি তে “ডট(.)” এর কোন যায়গা নেই। শুধু “Md” অথবা ফুল ইলাবোরেশন- “মোহাম্মদ” লিখতে হবে।
এই কনফিউশন নিয়ে এমনা-দোমনা করে করে ২০১৪ সালের দিকে ফর্ম ফিলাপ করে ফেললাম। কিন্তু, ব্যাংকে যেতে বড় অরুচী আমার। সেই ২০১৪ সালের সম্পুর্ন রেডি ফর্ম, টাকা জমার রশিদ ছাড়া, এখনো আমার কাছে!!
এর মাঝে, হারিয়ে ফেললাম NID। দেশে রোহিংগারা এলো। অরিজিনাল NID ছাড়া পাসপোর্টে এনরোলমেন্ট করানো হয় না। এদিকে ব্যাংক তো অনেক ভালো, থানায় যেতে আমার আরো সাংঘাতিক এলার্জি!! ভীষনরকম অন্যায় হয়েছে যে NID হারাবার দুই-বছর আমি কোন জিডি করি নাই। NID অরিজিনাল কপি না থাকার অজুহাতে পাসপোর্ট করাটা কেবল পিছাতেই থাকলো।
মাঝে অনেকগুলো বছর, অনেকগুলো ট্যুরে আমার যাওয়া হয়নি শুধু পাসপোর্টের দায়ে। প্রচুর গালি খেয়েছি কিন্তু কুঁড়ের বাদশাহ বলে কথা!! নিজের চিকিৎসার জন্য ফিরতি সফরে আর ইন্ডিয়াও ঢোকা হয় নাই। “এই জীবনে পাসপোর্ট আর করাই হবে না আমার” টাইপ এটিট্যুড নিয়ে দিন গুজরান করার মধ্যেই একদিন হুট করে বাগড়া দিলো বন্ধু সেলিম।
মাথাতে তাক বন্ধুর বন্দুকঃ
২০২০ এর অক্টোবরের কথা। সেলিম এক সন্ধ্যায় ফোন করে দুটো গাল পেড়ে বললো, “পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনের লিঙ্ক পাঠাচ্ছি, ১৫ মিনিটের মধ্যে সাইন-আপ করে ফিলাপ করে সাবমিট করে আমাকে জানা। এপয়েন্টমেন্ট নিবি সামনের ৯ তারিখ সাড়ে বারোটায়। ” মানে, ভাবটা এমন যে- মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কথাগুলো বলেছে, কেবল বন্দুকটাই অনুপস্থিত।
www.epassport.gov.bd এ ঢুকে সব শেষ করতে ১৫-২০ মিনিটের বেশি লাগে নাই। সব দরকারী-অদরকারী সাপোর্টিং ডকুমেন্ট ৬বছর ধরে জমে থাকা MRP-র আবেদনের ফাইলেই ছিলো।
তখন আম্মুর কেমোথেরাপী চলছিলো। এর মধ্যে আব্বু সাতক্ষীরাতে কোভিডে আক্রান্ত হলো। লাং ৬৫% ইনভলভড। পোস্ট কোভিড নিউমোনিয়া আক্রান্ত আব্বুকে এম্বুলেন্সে করে ঢাকা আনিয়ে হসপিটালাইজড করা, সেসব অন্য যুদ্ধের গল্প। তো আব্বাকে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে ৭ তারিখ চলে এলো। ওয়েবে দেখলাম, NID আর্জেন্ট রি-ইস্যু করা যায় একদিনের মধ্যেই। সেলিমের বাইকে করে ব্যাংক এশিয়ায় টাকা জমা দিলাম(টাকাও সেলিম দিয়েছিলো, পরের মাসে ফেরত নেবার শর্তে)। ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গুলশান ২ থানায়, সংগে সেলিমই। ডিউটি অফিসারকে মিথ্যে বলতেই হলো, দু’বছর আগে মিরপুরে হারানো NID এর জন্য গুলশানে জিডি কেউ নিতে চাইবে না। উনি, বোধকরি, বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু, হাল্কা ঝাড়ি মতোন দিয়ে জিডিটা নিয়ে নিলেন, ধন্যবাদ ওনাকে। জিডি করিয়ে গেলাম ইউনাইটেড এ, আম্মুর কেমোথেরাপি চলছে সেখানে। তারপর বাসা।
পরদিন জিডির কপি নিয়ে চলে গেলাম আগারগাঁ! NID রিইস্যু করাতে গিয়ে বুঝলাম, দিনে-দিনে করাতে দালালের বিকল্প নাই!! আর প্রসেসে গেলে মাসখানেক লেগে যাবে।
তবে কি, NID টা সুন্দর করে স্ক্যান করে রেখেছিলাম! নিজেকে “প্যারা নাই, চিল” বলে প্রিন্ট করিয়ে লেমিনেটিং করিয়ে ফেললাম। যদিও দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো, ডুপ্লিকেট!!
৯ তারিখ, সেলিমের বাইকে চড়ে গেলাম উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। লাইনে দাড়ালাম, ১০মিনিটের মধ্যে সিল মেরে ভেরিফিকেশনের লাইনে। অরিজিনাল NID দেখতে না চেয়ে সোজা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যাচাই করে নিলো প্রদত্ত ফটোকপি। আর ১০ মিনিট পর বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট!
সিটি বাজিয়ে ফেরত আসলাম।
পুলিশ ভেরিফিকেশনঃ
সেলিমের রিনিউয়াল ছিলো, mrp থেকে ই-পাসপোর্ট এ। এক সপ্তাহের মধ্যে ডেলিভারি হয়ে গেলো। দেড় কি দু সপ্তাহ পর আমার ফোন এলো স্থায়ী ঠিকানা থেকে ভেরিফিকেশনের। নিযুক্ত কর্মকর্তা জানতে চাইলেন, কই আছি? বললাম, হাসপাতালে, আব্বার করোনা, ভর্তি আছে। জিজ্ঞেস করলেন, পাসপোর্ট কেন করছি? বললাম, আম্মুর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে চাইছি। ভদ্রলোক বললেন, উনি কাগজ ছেড়ে দিচ্ছেন। যেহেতু আমি অনেক বিপদে আছি, উনি চাইতে পারছেন না। তবে, যদি কখনো আমার পক্ষে কিছু সম্ভব হয় তবে তার এই নাম্বারটায় বিকাশ খোলা আছে। তাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখলাম।
ক’দিন বাদে আরেকজন অফিসার তার থানায় দেখা করতে বললেন সমস্ত কাগজ নিয়ে। গেলাম। উনি থানার কাছের কাফেতে বসলেন। সব কাগজ দেখলেন, শুনলেন। উনাকে অবশ্য প্রথমেই বলে নিলাম, “দূরে থাকেন, কোভিড ওয়ার্ড থেকে আসছি।” অনেক কথার পর উনি অনেক্ষণ চুপ করে তাকায়ে থেকে বললেন, আসেন তাহলে। অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে চলে এলাম।
সপ্তাদেড় এর মধ্যেই বিগত ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকা আমার পাসপোর্ট আগামী ১০ বছরের জন্য হাতে এসে গেলো।
মিশন আব্বু-আম্মুঃ
জানুয়ারী নাগাদ আম্মু আব্বু দুজনেই আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো। দুইজনেরই অফিসিয়াল MRP ছিলো। এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে কিছুদিন আগে। রিনিউয়ালের জন্য এপ্লিকেশন করলাম। বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের দিন পড়লাম বিপদে। বাড়িওয়ালার সাথে চুক্তিপত্র লাগবে বলে ফিরিয়ে দিলো। উপপরিচালক মহোদয়ও সেদিন অফিসে নেই, মিটিং কোথাও গিয়েছেন। রুলস যদি তাই হয়, মানতে আমার আপত্তি নাই। আমার সমস্যা একটাই, আম্মু অনেক কষ্ট করে এসেছেন, তাকে দ্বিতীয়বার টানাহেঁচড়া করা সম্ভব না। কাউন্টারের ভদ্রলোক কোন রিকোয়েস্টই কানে তুলছেন না। আব্বু হাল ছেড়ে দিলেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা সাদা কাগজে বুলেট পয়েন্টের মতো করে বড় বড় করে লিখলাম-
- #আম্মু
- #ক্যান্সার পেশেন্ট
- #অফিসিয়াল MRP
- #সরকারী কর্মচারী
- #রিনিউয়াল
কাগজটা নিয়ে কাউন্টারের অপর ভদ্রমহিলার সামনে ধরলাম। উনি তাকিয়ে জজ্ঞেস করলেন- আপনার আম্মা?
-জ্বি।
-ক্যান্সার?
-জ্বি।
-কোথায় উনি?
-ঐ যে।
-পেপারস কই?
-এই যে।
-ওনার তো অফিসিয়াল পাসপোর্ট ছিলো! বলেন নাই কেন?
-জ্বি, বলেছিলাম। অনেক ক্যাওস তো, আপনারা অনেক চাপের মধ্যে কাজ করছেন। বোধহয় কোন ভাবে খেয়াল করতে পারেন নি।”
-NOC আছে?
-এই যে।
-একটু দাঁড়ান, দেখছি।
ভদ্রমহিলা ভিতর থেকে এসে NOC ভেরিফাই করে আনতে বললেন ৫তলা থেকে। পাশের ভদ্রলোক লাঞ্চ করে আসার পর কাজ হয়ে যাবে।
আব্বু তখন বললো, -তাহলে আমারটাও ছেড়ে দেন।
-আপনারা একত্রে?
-জ্বি।
-ওনারও অফিসিয়াল পাসপোর্ট?
-জ্বি, তবে উনি এখন রিটায়ার্ড।
-রিটায়রমেন্টের প্রুফ আছে?
-এই যে।
-আচ্ছা, ওনার ফাইল দেন।
আধাঘন্টার মাথায় আমরা এনরোলমেন্টের লাইনে। আম্মু আর পারছিলেন না, হুইল চেয়ার এনে দিলাম। এটা প্রশংসনীয় যে, পাসপোর্ট অফিসে ওরা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা রেখেছে।
এনরোলমেন্টের সময় ঝামেলা বাধলো, NID আর MRP এর নামে। MRP তে নামাএর আগে Mrs ছিলো। NID তে নাই। যেহেতু MRP এখন অতীত হয়ে যাচ্ছে, মিসেস ক্যারি করার কোন দরকার নাই। অপারেটর বললেন, সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট পেতে অনেক দেরী হবে। সেটাও ঠিক কতোটা দেরী কেউ বলতে পারে না। বললাম, সেইটা আমি দেখবো। ওদিকে আব্বু তার নাম এ md এর যায়গায় MRP অনুযায়ী মোহাম্মদ পুনর্বহাল করে এনরোলমেন্ট করে ফেলেছে। ও নিয়ে আপাতত আর প্যারা নিলাম না। আম্মুর এনরোলমেন্ট শেষ করে চলে এলাম।
এক সপ্তাহের মধ্যে আব্বুর পাসপোর্ট হয়ে গেলো। অথচ, আম্মুরটা তখনো এপ্রুভড হয় নাই। আব্বুর পাসপোর্ট সংগ্রহ করার এপ্লিকেশন আর আম্মুর নামের বিভ্রাট উল্লেখপুর্বক সংশোধনী মঞ্জুর করার জন্য দুইটা আলাদা আবেদন লিখে নিয়ে আবারো সেলিমের বাইকে চড়ে উত্তরা গেলাম। আব্বুর পাসপোর্ট তুলে গেলাম উপপরিচালকের সাথে দেখা করতে। ইতিমধ্যে অবধ্য ছোট ভাই ফরহাদ একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার ইস্যুটা ওনাকে জানিয়ে রেখেছিলো। তবে, মনে হয়েছিলো সেটাও দরকার হতো না। উনি যথেষ্টই সংবেদনশীল এবং সহযোগীতার মনোভাবসম্পন্ন মানুষ। সব শুনে চেক করে দেখে বললেন, ” আমি সুপারিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। তবু যদি এপ্রুভ না হয়, কাল এসে একবার ফলোয়াপ করবেন।”
বেরিয়ে আসার পর সেলিম খোলা আসমানের নিচে বেহেস্তি গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ালো। খেয়ে উঠেই দেখি আম্মুর এপ্লিকেশন এপ্রুভড।
পরের সপ্তাহের মধ্যেই পাসপোর্ট রেডি।

উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯.৩০ থেকে বিকেল ৩.০০ পর্যন্ত পাসপোর্ট ডেলিভারী দেয়া হয়। আমি পৌঁছেছিলাম সাড়ে ৩টায়। অনেক হাউকাউয়ের পরেও পাসপোর্ট দিচ্ছিলো না। হুট করে একজন আনসার ইশারা করলো। আমিও ইশারা করলাম। (নিরুপায় ভাই, অফিস খোলার দিন কামলাগিরি ফেলে কয়বার আর উত্তরা যাবো!! )
আবেদন ও ডেলিভারী স্লিপ জমা হয়ে গেলো। অফিসার বেশ পোক্তকরে আমার অরিজিনাল NID দেখতে চাইলেন। আমি বিগলিত মুখে আগের মাসেই ইস্যু হওয়া টাটকা ইপাসপোর্ট বাড়িয়ে বললাম, -এটা চলবে?
ডেলিভারী নেবার পর দেখি আনসার সাহেব বাইরে দাঁড়ানো। পকেটে হাত দিয়ে তার দিকে হেটে যাচ্ছি।
-কি করেন! কি করেন! এইখানে সিসিটিভি আছে! বারান্দায় আসেন।
৫০টাকা দিয়েছিলাম, কিন্তু ওনার স্যার নাকি বিশ্বাসই করবেন না যে কেউ ৫০ টাকা দিতে পারে!! অগত্যা ১০০টাকা দিয়ে চলে এলাম।
এখন বাকী আমার বউয়ের পাসপোর্ট। কিন্তু, ওরও NID তে কিছু একটা ঝামেলা আছে, NID সার্ভারে ঢুকতে গেলে কি কি জানি ইস্যু দেখায়। দেখা যাক, কিছু একটা তো করতেই হবে।
যারা পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেনঃ লং স্টোরি শর্ট

- নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে NID অনুযায়ী তথ্য দেয়া বাঞ্ছনীয়। ধীরে ধীরে সমস্ত সিস্টেম একই সমান্তরালে চলে আসছে। সো একেক জায়গায় একেকরকম তথ্য থাকলে তা পরবর্তীতে ঝামেলা তৈরি করতে পারে। তাই সম্ভব হলে NID তে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নেবেন।
- রিনিউয়ালের সময়, NID আর MRP এর তথ্যে যদি কোন পার্থক্য না থাকে, তাহলে প্যারা নাই। অনলাইনে একাউন্ট খুলে এপ্লিকেশন সাবমিট করেন, ব্যাংকে টাকা জমা দেন, রিসিট নিয়ে, সমস্ত সাপোর্টিং ডকুমেন্ট নিয়ে, এপয়েন্টমেন্টের তারিখে rpo তে চলে যান, বায়োমেট্রিক দেন। রিনিউয়ালের ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিনের কমেই হয়ে যাবে। অন্যথায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে যেটুক সময় লাগে।
- সাপোর্টিং ডকুমেন্টের ব্যাপারে ঝামেলা চাইলে করতেই পারে। সো, সমস্ত সার্টিফিকেটের কপি, গ্যাস বিল বা পানির বিলের কপি বাবা মা এবং নিজের nid এর কপি সাথে নিয়ে যাবেন। আর পাশের ছবিটা খেয়াল করেন, “বর্তমান ঠিকানার নিম্নলিখিত কাগজপত্র” অংশে যা যা চেয়েছে তার প্রিপারেশন রাখবেন, নতুবা, চাইলে ঝামেলা করতে পারবে।
- আপনার nid কার্ডের পিছনে লেখা ঠিকানা যদি আপনার বর্তমান আবেদনের বর্তমান ঠিকানা না হয় তাহলে সেটাও আপনাকে ফিরিয়ে দেবার উসিলা হতে পারে। অনেককেই ফিরিয়ে দিতে দেখেছি , nid সংশোধন করে আবার এপ্লাই করতে বলে।
- নাগরিকতার সনদ ইত্যাদি আমার লাগে নাই, আপনার যে লাগবে না, তার গ্যারান্টি নাই।
- অনেক জায়গায় নাকি ফী জমা দেবার বিবরণ কলমে লিখলে ঝামেলা করে। এড়াতে চাইলে ফর্ম এডিট করে টাইপ করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
- তবে কি, ঝামেলা করা যাদের নিয়তে আছে, তারা ঝামেলা করবেই। বেশি ত্যানা প্যাচাইলে দায়িত্বশীল AD/DD যিনি আছেন, তার সাথে দেখা করে সবিস্তারে খুলে বলে তার পরামর্শ চাইবেন।
- নিকটাত্মীয়ের পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য অথরাইজেশন এপ্লিকেশনের ডেমো/স্যাম্পল সহ প্রয়োজনীয় ফাইল ও রেফারেন্স ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকেঃ https://www.facebook.com/groups/EPassportBangladesh/files
[“E-Passport Bangladesh (ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশ) Unofficial” ফেসবুক গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞতা অনস্বীকার্য ]
অল দ্য বেস্ট।